কেমন আছেন সবাই?
আশা করি ভালোই আছেন। আমি ও
আছি ভালোই আলহামদুলিল্লাহ্। যাই হোক
আজ আমি যেই পোস্ট টির
কথা বলছি সেটি সম্পকে অনেকে হয়তো জানেন,
যারা না জানেন তারা দেখে নেন কাজে লাগতে পারে। আজকের পোষ্টের
বিষয়টি শুনে হয়তো চমকে উঠেছেন..
তাইনা? আসলে চমকে যাবারই কথা।
কেননা যারা নোকিয়া মাল্টিমিডিয়া ফোন
ব্যবহার করে থাকেন তারা সবাই জানেন
ফ্লাসের এই দূরাবস্থার কথা। প্রতিবার ফ্লাস দিতে ২০০ টাকা থেকে শুরু
করে ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়
মোবাইল সার্ভিস অথবা নোকিয়া সার্ভিস
পয়েন্ট গুলোতে।
এতকিছুর পরও, ফ্লাস দেবার পর সেটা কত
দিন টিকবে তারও কোন নিশ্চয়তা নাই। অনেকের কিছুদিন পর পর ফ্লাস দিতে হয়।
অথচ দেখুন এভাবে ফ্লাস
দিতে দিতে কতগুলো টাকা আপনাকে গচ্ছা দিতে হচ্ছে।
যাইহোক, আজকে আমি আপনাদেরকে সেই
সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাবার
একটি উপায় বর্ণনা দিচ্ছি। এখন থেকে আপনার পিসিতেই বসে আপনার
মোবাইল টি আপনি ফ্লাস দিতে পারবেন
যতবার ইচ্ছে ততবার।
এর জন্য নিচের সম্পূর্ণ লিখাগুলো মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে কিছু আলোচনা:- আসলে আপনার ফোনে ফ্লাসের
সমস্যাটি হওয়ার কারণ হচ্ছে..
ফোনটিতে কিছু Firmware File
থাকে যেগুলো সচল থাকলে ফোনটির সকল
ফাংশন ঠিকভাবে কাজ করে।
কিন্তু এগুলো যদি নষ্ট হয়ে যায় তারপর ফোন আর ঠিকমত কাজ করেনা।
এমনকি মোবাইল চালু ও পর্যন্ত হয়না।
এছাড়াও আর অনেক সমস্যা দেখায়,
যেগুলো হলো- আপনার ফোনটি চালু
হয়ে সাদা স্কীন দেখাবে অথবা কয়েক বার
চালু হতে এবং বন্ধ হতে থাকবে। কখনো কখনো ফাংশন ঠিক মত কাজ
করবে না। আবার কখনো ফোন বন্ধ হয়ে আর
চালু হবেনা।
আমরা সাধারণত এধরনের সমস্যায়
পড়লে মোবাইল সার্ভিস পয়েন্ট নিয়ে যাই
এবং সেখানে ফ্লাসের মাধ্যমে সেটা ঠিক করে দেওয়া হয়।
ফ্লাস কি? আসলে ফ্লাস হচ্ছে Firmware
Files গুলো আপনার মোবাইলে দেওয়ার
একটি প্রকৃয়া বিশেষ মাত্র। মূলত ফ্লাসের
মাধ্যমে নতুন করে সেই ফাইল
গুলো মোবাইলে দেওয়া হয়। এবং এর ফলে মোবাইল পূর্বের মত পুররায় সচল
হয়ে যায়।
Firmware Files নির্ভর করে আপনার
মোবাইলের RM এর উপর। RM মূলত বিভিন্ন
Phonix softowar
মোবাইলের বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
যেমন Nokia 3110 এর RM হলো 237 আপনি যদি আপনার মোবাইলের RM
নম্বরটি দেখতে চান তাহলে মোবাইলের
ব্যাটারী খুলে তার নিচে RM
লিখাটি দেখতে পাবেন এবং তার
পাশে RM নম্বর টি ও দেথতে পাবেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার ফোনে *#0000# টাইপ করেও
দেথতে পারবেন।
Phonix এর মাধ্যমে ফ্লাস দেওয়ার
বিষয়টা একটু জটিল। তাই প্রথমে এ
বিষয়ে কিছু তথ্য
আপনাকে জানিয়ে রাখছি। আপনি যে কোন সেট ই ফ্লাস দিতে যান
না কেন, আপনার কাছে তার RM
ফাইলগুলো অবশ্যই থাকতে হবে।
তবে চিন্তিত হওয়ার কারন নেই, গুগুল এ
সার্চ দিয়ে আপনি আপনার যেকোন
মোবাইলের RM ফাইলগুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তবে Google এ কেবল
শুধু RM
লিখে ফাইলগুলো পেয়ে যেতে পারেন।
যেমন- উদহরণস্বরুপ আপনার মোবাইল
যদি নোকিয়া ৩১১০ হয় তাহলে আপনি শুধু
RM-237 গুগুলে লিখে সার্চ দিলেই আপনার প্রত্যাশিত
ফাইলগুলো পেয়ে যেতে পারেন।
যাইহোক, নিচে আমি দুটি লিংক
দিচ্ছি যেখান থেকে আপনি কিছু
মোবাইলের RM ফাইলগুলো ডাউনলোড
করতে পারবেন। তবে আপনি যখন RM ফাইল ডাউনলোড করতে যাবেন তখন
যদি ফাইলটি জিপ অথবা রারফাইলের
অবস্থায় না থাকে তাহলে উক্ত RM এর
যেগুলো সেখানে দেখতে পাবেন এর
সবগুলো ফাইল ডাউনলোড করে নিবেন। মূলত
কোন কোন ক্ষেত্রে ৫ টি ১০টি ইত্যাদি সংখ্যক ফাইল
দেথতে পাবেন। তবে জিপ বা রার অবস্থায়
থাকলে একটি ফাইল ই দেখতে পাবেন
এবং সেটা ডাউনলোড করে আনজিপ
করে নিলেই হবে। এবং আপনি RM
ফাইলগুলো আনজিপ করার সাথে সাথেই পেয়ে যাবেন।
এগুলো মূলত বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে।
যেমন-২০ এমবি, ৫০ এমবি, ৮০
এমবি ইত্যাদি। ]লিংক-১
লিংক-২ ফ্লাস দেওয়ার নিয়মাবলী:-
১। ফ্লাস দেওয়ার জন্য প্রথমে প্রয়োজন Phonix সফটওয়্যারটির, তাই নিচের
লিংক থেকে ১০০ এমবির এই সফটওয়্যার
টি ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড
Phonix ২। এবার ডাউনলোড
শেষে সফটওয়্যার
টি আপনার পিসিতে ইনস্টল দিন। অনেক ক্ষেত্রে আপনার পিসিতে ডট ফ্রেমওয়ার্ক
এর আপডেট ভার্সন না থাকার
কারণে phonix সফটওয়্যার টি ইনস্টল
নিবে না। তাই যাদের
কম্পিউটারে Phonix সফটওয়্যাটি ইনস্টল
না নিবে, তারা নিচের লিংক থেকে প্রথমে ডট ফ্রেমওয়ার্ক
টি ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন,
এবং তারপর Phonix সফটওয়্যার
টি আপনার পিসিতে ইনস্টল দিন।
ডাউনলোড ডট ফ্রেমওয়ার্ক ৩। এবার
আপনার মোবাইলের RM ফাইল গুলো যেগুলো আপনি পূর্বেই ডাউনলোড
করে রেখেছেন সেখানে যান। যদি জিপ
অবস্থায় থাকে তাহলে Extract
অথবা আনজিপ করে নিন।
৪। এবার RM ফাইলগুলো কে কোথায়
রাখবেন নিচ থেকে তা দেখে নিন:- C ড্রাইভের ভিতরে গিয়ে Program files
ফোল্ডার টি ওপেন করুন তারপর এর
ভিতরে থাকা Nokia এবং তার
ভিতরে থাকা Phonix ফোল্ডার টি ওপেন
করুন, তারপর Products
ফোল্ডারটি দেখতে পাবেন। এবার সেখান থেকে Products ফোল্ডারটির
ভিতরে গিয়ে একটি ফোল্ডার তৈরি করুন।
এবং আপনার RM অনুযায়ী সেটার নাম
দিন। (যেমন উদাহরণস্বরুপ Nokia-3110
মোবাইলের RM-237, তাই ফোল্ডার টির
নাম হবে RM-237) আপনার মোবাইলের RM অনুযায়ী ফোল্ডার
নাম পরিবর্তন করার পর, আপনার ডাউনলোড
করা RM ফোল্ডারটি আনজিপ
করে ফাইলগুলো ঐ ফোল্ডার
টি তে কপি করে রাখুন। নিচে দেখে নিন
আপনার RM ফোল্ডারটির লোকেশন কিরূপ দেখাবে। Crogram
FilesNokiaPhoenixProductsRM-237
উল্লেখ্য যে আপনার মোবাইলের RM
টি RM-237 এর স্থানে দিন।
বিষয়টা বুঝতে অনেকের একটু কষ্ট
হচ্ছে..তাইনা? আসলে আমরা যখন Phonix সফটওয়্যার টির ইনস্টল দিয়েছি তখন
অটোমেটিক ভাবে C ড্রাইভের
ভিতরে থাকা Program Files নামক
ফোল্ডারটিতে Phoenix এবং এর
ভিতরে Products নামক ফোল্ডার
গুলো তৈরি হয়ে গিয়েছে। আপনি C ড্রাইভে ঢুকে পর্যায়ক্রমে উপরের
লোকেশন অনুযায়ী ঢুকলে Products
ফোল্ডারটি দেথতে পাবেন।
এবং সেই ফোল্ডার টির ভিতরে আপনার
ডাউনলোড কৃত RM ফোল্ডারটি আনজিপ
করে রাখবেন। পরবর্তীতে সেই লোকেশন থেকে RM ফাইলগুলো Phonix
প্রোগ্রামটি তে চলে আসবে।
আশা করি এবার বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
৫। এবার ডেস্কটপ থেকে Phonix
প্রোগ্রামটি আপনার পিসিতে রান করান।
তারপর একটি ভালো USB ক্যাবল দিয়ে আপনার মোবাইল টি পিসির
সাথে কানেক্ট করুন। এবং নিচের চিত্র
অনুযায়ী No
connection সিলেক্ট করুন। ৬।
এবার নিচের চিত্রটির ন্যায় ফাইল
মেন্যুতে গিয়ে Open product এ ক্লিক করুন। ৭। তারপর নতুন
একটি উইন্ডো আসবে।
আপনি সেখান থেকে আপনার মোবাইলের RM
টি সিলেক্ট করে নিন নিচের চিত্রটির মত
করে। ৮। এবার মেন্যু
থেকে Flashing মেন্যুতে ক্লিক করুন এবং Firmware
update লিখাটি সিলেক্ট করুন নিচের
চিত্রটির মত করে। ৯। তারপর
নিচের চিত্রে মার্ক
দিয়ে যে তিনটি ডট চিহ্ন
কে বুঝানো হয়েছে ঠিক আপনিও সেই ডট চিহ্নিত স্থানটি তে ক্লিক করুন। ১০। এবার নিচের উইন্ডোটির
মতো একটি উইন্ডো আসবে।
আপনি সেখানে আপনার variant
অথবা product code ফাইলটির উপর
ক্লিক করুন। ১১। তারপর নিচের চিত্রটির মত Dead
phone USB Flashing এর ঘরটিতে টিক
চিহ্ন দিন। নিচের চিত্রে এই
স্থানটি কে এক নম্বর
দিয়ে দেথানো হয়েছে।
তারপর Refurbish এ ক্লিক করুন, নিচের চিত্রে সেই স্থানটি ২ নম্বর
দিয়ে দেখানো হয়েছে। ১২।
এরপর আপনার সামনে নিচের মত
একটি ডায়ালগ উইন্ডো আসবে, আপনি সেই
লিখাগুলো অনুযায়ী পরবর্তী কয়েকটা ধাপ
করে নিন। যেমন,
সেখানে যে লিখাগুলো থাকবে সেগুলো হচ্ছে-
USB এর লাইন বিচ্ছিন্ন করতে বলবে,
তারপর মোবাইল
থেকে ব্যাটারী টি আলাদা করতে বলবে,
তারপর পুনরায় USB কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করতে বলবে। এবং তারপর
ব্যাটারী টি মোবাইলে প্রবেশ করানোর
জন্য বলবে।
সবশেষে মোবাইলের পাওয়ার সুইচে ৮
সেকেন্ড চাপ দিতে বলবে এবং ok
লিখাটিতে ক্লিক করতে বলবে। আপনি এগুলো পর্যায়ক্রমে করে নিন। ১৩। এরপর মোবাইলে ফ্লাস
নেওয়া শুরু
হবে এবং নিচের চিত্রটির মত দেখাবে।
আপনি ফ্লাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত
অপেক্ষা করুন। ১৪। ফ্লাসের শেষ পর্যায়ে আপনি নিচের
চিত্রটির মত একটি উইন্ডো দেখবেন।
আপনি সেখানে ok তে ক্লিক করুন।
তারপর আপনার মোবাইল টি রিস্টার্ট
নিবে। এবং ফ্লাস সাকসেসফুল দেখাবে। পোষ্টটি করব একথা শুধু বলেই আসছিলাম।
কিন্তু আজকে তা করেই ফেললাম। এই
পোষ্টটির করার জন্য পাঠক পর্যায়
থেকে আমি ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম তাই
কষ্ট হলেও এত বড় পোষ্টটি করতে বিন্দু
মাত্র অলসতা করিনি। আশা করছি পোষ্টি পেয়ে সবাই খুশি হবেন।
উক্ত উপায়ে ফ্লাস দিতে আপনার যেকোন
সমস্যা হলে আমাকে অবশ্যই জানাবেন।
আশা করি ভালোই আছেন। আমি ও
আছি ভালোই আলহামদুলিল্লাহ্। যাই হোক
আজ আমি যেই পোস্ট টির
কথা বলছি সেটি সম্পকে অনেকে হয়তো জানেন,
যারা না জানেন তারা দেখে নেন কাজে লাগতে পারে। আজকের পোষ্টের
বিষয়টি শুনে হয়তো চমকে উঠেছেন..
তাইনা? আসলে চমকে যাবারই কথা।
কেননা যারা নোকিয়া মাল্টিমিডিয়া ফোন
ব্যবহার করে থাকেন তারা সবাই জানেন
ফ্লাসের এই দূরাবস্থার কথা। প্রতিবার ফ্লাস দিতে ২০০ টাকা থেকে শুরু
করে ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়
মোবাইল সার্ভিস অথবা নোকিয়া সার্ভিস
পয়েন্ট গুলোতে।
এতকিছুর পরও, ফ্লাস দেবার পর সেটা কত
দিন টিকবে তারও কোন নিশ্চয়তা নাই। অনেকের কিছুদিন পর পর ফ্লাস দিতে হয়।
অথচ দেখুন এভাবে ফ্লাস
দিতে দিতে কতগুলো টাকা আপনাকে গচ্ছা দিতে হচ্ছে।
যাইহোক, আজকে আমি আপনাদেরকে সেই
সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাবার
একটি উপায় বর্ণনা দিচ্ছি। এখন থেকে আপনার পিসিতেই বসে আপনার
মোবাইল টি আপনি ফ্লাস দিতে পারবেন
যতবার ইচ্ছে ততবার।
এর জন্য নিচের সম্পূর্ণ লিখাগুলো মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে কিছু আলোচনা:- আসলে আপনার ফোনে ফ্লাসের
সমস্যাটি হওয়ার কারণ হচ্ছে..
ফোনটিতে কিছু Firmware File
থাকে যেগুলো সচল থাকলে ফোনটির সকল
ফাংশন ঠিকভাবে কাজ করে।
কিন্তু এগুলো যদি নষ্ট হয়ে যায় তারপর ফোন আর ঠিকমত কাজ করেনা।
এমনকি মোবাইল চালু ও পর্যন্ত হয়না।
এছাড়াও আর অনেক সমস্যা দেখায়,
যেগুলো হলো- আপনার ফোনটি চালু
হয়ে সাদা স্কীন দেখাবে অথবা কয়েক বার
চালু হতে এবং বন্ধ হতে থাকবে। কখনো কখনো ফাংশন ঠিক মত কাজ
করবে না। আবার কখনো ফোন বন্ধ হয়ে আর
চালু হবেনা।
আমরা সাধারণত এধরনের সমস্যায়
পড়লে মোবাইল সার্ভিস পয়েন্ট নিয়ে যাই
এবং সেখানে ফ্লাসের মাধ্যমে সেটা ঠিক করে দেওয়া হয়।
ফ্লাস কি? আসলে ফ্লাস হচ্ছে Firmware
Files গুলো আপনার মোবাইলে দেওয়ার
একটি প্রকৃয়া বিশেষ মাত্র। মূলত ফ্লাসের
মাধ্যমে নতুন করে সেই ফাইল
গুলো মোবাইলে দেওয়া হয়। এবং এর ফলে মোবাইল পূর্বের মত পুররায় সচল
হয়ে যায়।
Firmware Files নির্ভর করে আপনার
মোবাইলের RM এর উপর। RM মূলত বিভিন্ন
Phonix softowar
মোবাইলের বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
যেমন Nokia 3110 এর RM হলো 237 আপনি যদি আপনার মোবাইলের RM
নম্বরটি দেখতে চান তাহলে মোবাইলের
ব্যাটারী খুলে তার নিচে RM
লিখাটি দেখতে পাবেন এবং তার
পাশে RM নম্বর টি ও দেথতে পাবেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার ফোনে *#0000# টাইপ করেও
দেথতে পারবেন।
Phonix এর মাধ্যমে ফ্লাস দেওয়ার
বিষয়টা একটু জটিল। তাই প্রথমে এ
বিষয়ে কিছু তথ্য
আপনাকে জানিয়ে রাখছি। আপনি যে কোন সেট ই ফ্লাস দিতে যান
না কেন, আপনার কাছে তার RM
ফাইলগুলো অবশ্যই থাকতে হবে।
তবে চিন্তিত হওয়ার কারন নেই, গুগুল এ
সার্চ দিয়ে আপনি আপনার যেকোন
মোবাইলের RM ফাইলগুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তবে Google এ কেবল
শুধু RM
লিখে ফাইলগুলো পেয়ে যেতে পারেন।
যেমন- উদহরণস্বরুপ আপনার মোবাইল
যদি নোকিয়া ৩১১০ হয় তাহলে আপনি শুধু
RM-237 গুগুলে লিখে সার্চ দিলেই আপনার প্রত্যাশিত
ফাইলগুলো পেয়ে যেতে পারেন।
যাইহোক, নিচে আমি দুটি লিংক
দিচ্ছি যেখান থেকে আপনি কিছু
মোবাইলের RM ফাইলগুলো ডাউনলোড
করতে পারবেন। তবে আপনি যখন RM ফাইল ডাউনলোড করতে যাবেন তখন
যদি ফাইলটি জিপ অথবা রারফাইলের
অবস্থায় না থাকে তাহলে উক্ত RM এর
যেগুলো সেখানে দেখতে পাবেন এর
সবগুলো ফাইল ডাউনলোড করে নিবেন। মূলত
কোন কোন ক্ষেত্রে ৫ টি ১০টি ইত্যাদি সংখ্যক ফাইল
দেথতে পাবেন। তবে জিপ বা রার অবস্থায়
থাকলে একটি ফাইল ই দেখতে পাবেন
এবং সেটা ডাউনলোড করে আনজিপ
করে নিলেই হবে। এবং আপনি RM
ফাইলগুলো আনজিপ করার সাথে সাথেই পেয়ে যাবেন।
এগুলো মূলত বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে।
যেমন-২০ এমবি, ৫০ এমবি, ৮০
এমবি ইত্যাদি। ]লিংক-১
লিংক-২ ফ্লাস দেওয়ার নিয়মাবলী:-
১। ফ্লাস দেওয়ার জন্য প্রথমে প্রয়োজন Phonix সফটওয়্যারটির, তাই নিচের
লিংক থেকে ১০০ এমবির এই সফটওয়্যার
টি ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড
Phonix ২। এবার ডাউনলোড
শেষে সফটওয়্যার
টি আপনার পিসিতে ইনস্টল দিন। অনেক ক্ষেত্রে আপনার পিসিতে ডট ফ্রেমওয়ার্ক
এর আপডেট ভার্সন না থাকার
কারণে phonix সফটওয়্যার টি ইনস্টল
নিবে না। তাই যাদের
কম্পিউটারে Phonix সফটওয়্যাটি ইনস্টল
না নিবে, তারা নিচের লিংক থেকে প্রথমে ডট ফ্রেমওয়ার্ক
টি ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন,
এবং তারপর Phonix সফটওয়্যার
টি আপনার পিসিতে ইনস্টল দিন।
ডাউনলোড ডট ফ্রেমওয়ার্ক ৩। এবার
আপনার মোবাইলের RM ফাইল গুলো যেগুলো আপনি পূর্বেই ডাউনলোড
করে রেখেছেন সেখানে যান। যদি জিপ
অবস্থায় থাকে তাহলে Extract
অথবা আনজিপ করে নিন।
৪। এবার RM ফাইলগুলো কে কোথায়
রাখবেন নিচ থেকে তা দেখে নিন:- C ড্রাইভের ভিতরে গিয়ে Program files
ফোল্ডার টি ওপেন করুন তারপর এর
ভিতরে থাকা Nokia এবং তার
ভিতরে থাকা Phonix ফোল্ডার টি ওপেন
করুন, তারপর Products
ফোল্ডারটি দেখতে পাবেন। এবার সেখান থেকে Products ফোল্ডারটির
ভিতরে গিয়ে একটি ফোল্ডার তৈরি করুন।
এবং আপনার RM অনুযায়ী সেটার নাম
দিন। (যেমন উদাহরণস্বরুপ Nokia-3110
মোবাইলের RM-237, তাই ফোল্ডার টির
নাম হবে RM-237) আপনার মোবাইলের RM অনুযায়ী ফোল্ডার
নাম পরিবর্তন করার পর, আপনার ডাউনলোড
করা RM ফোল্ডারটি আনজিপ
করে ফাইলগুলো ঐ ফোল্ডার
টি তে কপি করে রাখুন। নিচে দেখে নিন
আপনার RM ফোল্ডারটির লোকেশন কিরূপ দেখাবে। Crogram
FilesNokiaPhoenixProductsRM-237
উল্লেখ্য যে আপনার মোবাইলের RM
টি RM-237 এর স্থানে দিন।
বিষয়টা বুঝতে অনেকের একটু কষ্ট
হচ্ছে..তাইনা? আসলে আমরা যখন Phonix সফটওয়্যার টির ইনস্টল দিয়েছি তখন
অটোমেটিক ভাবে C ড্রাইভের
ভিতরে থাকা Program Files নামক
ফোল্ডারটিতে Phoenix এবং এর
ভিতরে Products নামক ফোল্ডার
গুলো তৈরি হয়ে গিয়েছে। আপনি C ড্রাইভে ঢুকে পর্যায়ক্রমে উপরের
লোকেশন অনুযায়ী ঢুকলে Products
ফোল্ডারটি দেথতে পাবেন।
এবং সেই ফোল্ডার টির ভিতরে আপনার
ডাউনলোড কৃত RM ফোল্ডারটি আনজিপ
করে রাখবেন। পরবর্তীতে সেই লোকেশন থেকে RM ফাইলগুলো Phonix
প্রোগ্রামটি তে চলে আসবে।
আশা করি এবার বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
৫। এবার ডেস্কটপ থেকে Phonix
প্রোগ্রামটি আপনার পিসিতে রান করান।
তারপর একটি ভালো USB ক্যাবল দিয়ে আপনার মোবাইল টি পিসির
সাথে কানেক্ট করুন। এবং নিচের চিত্র
অনুযায়ী No
connection সিলেক্ট করুন। ৬।
এবার নিচের চিত্রটির ন্যায় ফাইল
মেন্যুতে গিয়ে Open product এ ক্লিক করুন। ৭। তারপর নতুন
একটি উইন্ডো আসবে।
আপনি সেখান থেকে আপনার মোবাইলের RM
টি সিলেক্ট করে নিন নিচের চিত্রটির মত
করে। ৮। এবার মেন্যু
থেকে Flashing মেন্যুতে ক্লিক করুন এবং Firmware
update লিখাটি সিলেক্ট করুন নিচের
চিত্রটির মত করে। ৯। তারপর
নিচের চিত্রে মার্ক
দিয়ে যে তিনটি ডট চিহ্ন
কে বুঝানো হয়েছে ঠিক আপনিও সেই ডট চিহ্নিত স্থানটি তে ক্লিক করুন। ১০। এবার নিচের উইন্ডোটির
মতো একটি উইন্ডো আসবে।
আপনি সেখানে আপনার variant
অথবা product code ফাইলটির উপর
ক্লিক করুন। ১১। তারপর নিচের চিত্রটির মত Dead
phone USB Flashing এর ঘরটিতে টিক
চিহ্ন দিন। নিচের চিত্রে এই
স্থানটি কে এক নম্বর
দিয়ে দেথানো হয়েছে।
তারপর Refurbish এ ক্লিক করুন, নিচের চিত্রে সেই স্থানটি ২ নম্বর
দিয়ে দেখানো হয়েছে। ১২।
এরপর আপনার সামনে নিচের মত
একটি ডায়ালগ উইন্ডো আসবে, আপনি সেই
লিখাগুলো অনুযায়ী পরবর্তী কয়েকটা ধাপ
করে নিন। যেমন,
সেখানে যে লিখাগুলো থাকবে সেগুলো হচ্ছে-
USB এর লাইন বিচ্ছিন্ন করতে বলবে,
তারপর মোবাইল
থেকে ব্যাটারী টি আলাদা করতে বলবে,
তারপর পুনরায় USB কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করতে বলবে। এবং তারপর
ব্যাটারী টি মোবাইলে প্রবেশ করানোর
জন্য বলবে।
সবশেষে মোবাইলের পাওয়ার সুইচে ৮
সেকেন্ড চাপ দিতে বলবে এবং ok
লিখাটিতে ক্লিক করতে বলবে। আপনি এগুলো পর্যায়ক্রমে করে নিন। ১৩। এরপর মোবাইলে ফ্লাস
নেওয়া শুরু
হবে এবং নিচের চিত্রটির মত দেখাবে।
আপনি ফ্লাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত
অপেক্ষা করুন। ১৪। ফ্লাসের শেষ পর্যায়ে আপনি নিচের
চিত্রটির মত একটি উইন্ডো দেখবেন।
আপনি সেখানে ok তে ক্লিক করুন।
তারপর আপনার মোবাইল টি রিস্টার্ট
নিবে। এবং ফ্লাস সাকসেসফুল দেখাবে। পোষ্টটি করব একথা শুধু বলেই আসছিলাম।
কিন্তু আজকে তা করেই ফেললাম। এই
পোষ্টটির করার জন্য পাঠক পর্যায়
থেকে আমি ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম তাই
কষ্ট হলেও এত বড় পোষ্টটি করতে বিন্দু
মাত্র অলসতা করিনি। আশা করছি পোষ্টি পেয়ে সবাই খুশি হবেন।
উক্ত উপায়ে ফ্লাস দিতে আপনার যেকোন
সমস্যা হলে আমাকে অবশ্যই জানাবেন।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো মন্তব্য করে জানাবেন।
সবাই অনেক ভালো থাকবেন।
@ হিমালয়
সবাই অনেক ভালো থাকবেন।
@ হিমালয়
No comments:
Post a Comment